কদিন আগেও আফগান পেসার ফজল হক ফারুকিকে তেমন কেউ চিনত না। এখন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফারুকিকে চিনিয়ে দিলেন বিশ্বক্রিকেটে।

এ ড্যাশিং ওপেনার পর পর তিন ম্যাচেই ফারুকির শিকার হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। সিরিজে তার মোট সংগ্রহ মাত্র ৩১ রান (১১, ১২ ও ৮)। তিন ম্যাচ মিলে পঞ্চাশের কোটাও পার করতে পারেননি তামিম। এর চেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স আর কি হতে পারে!

তামিম তার দীর্ঘ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে একই সিরিজে একই বোলারের বিপক্ষে এবারই প্রথম টানা তিনবার আউট হলেন। তিনবারই বাঁহাতি পেসার ফারুকির ইনসুইঙ্গারে আউট হয়েছেন তামিম। বিষয়টি নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন তামিম।

তামিমের ব্যাটিংয়ে কৌশলগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, সে আলোচনা চলছে। কিন্তু সেসব সমালোচনার তোয়াক্কা না করে তামিম জানালেন, নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন বা কৌশলে কোনো ত্রুটি দেখছেন না তিনি। নিজের ব্যাটিং নিয়ে বরং গর্ব করেন তামিম।

সোমবার তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের পর এ নিয়ে করা প্রশ্নে তামিম বললেন, ‘না, এই জায়গা (অনসাইড) দিয়ে আমি অনেক রানও পেয়েছি। হয়তো আমাকে আরেকটু ভালো করতে হবে এবং সেটা করবও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে এটা তো করতেই হবে। যেভাবে আউট হয়েছি, তার চেয়ে দলের জন্য রান করতে না পারাটা আমার জন্য বেশি হতাশার। আমি এটা নিয়ে বেশি ভাবছি না। কারণ, আগে এই একই জায়গা দিয়ে যেমন আউট হয়েছিল, তেমনি রানও করেছি। তবে তিনবার আউট হওয়া এবং সিরিজে রান করতে না পারা আমার জন্য হতাশার। কারণ, নিজের ব্যাটিং নিয়ে গর্ব করি। নিজের ব্যাটিংয়ের মানদণ্ড আমি অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছি।’

গত তিন ম্যাচের বিশ্লেষণে দেখা গেল, প্রতিবারই আড়াআড়ি পা নিয়ে অনসাইডে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন তামিম। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে ফজল হক ফারুকির ভেতরে ঢোকানো বলে এলবিডব্লু হন তামিম। তৃতীয় ম্যাচে ওই একইরকম বলে একই শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

 

 

কলমকথা/ বিথী